নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারে চকরিয়ায় অনুমোদনহীন নিন্ম মানের ওষুধ, অপরিস্কার পরিবেশ, মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ লাইসেন্সে আড়ালে ডায়গনষ্টিক সেন্টার পরিচালনার করায় দায়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৫’র ভ্রাম্যমাণ আদালত এক অভিযান পরিচালনা করেছেন। আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১ থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উপজেলা সরকারী হাসপাতাল সড়কের আশপাশ এলাকায় অনুমোদনহীন বেশ কিছু ডায়গনষ্টিক সেন্টারে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১৫ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান। এসময় ৪টি ডায়গনিষ্ট সেন্টারকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় বেশীর ভাগ প্রতিষ্টান র্যাবের উপস্থিতিদেখে প্রতিষ্টান বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়।
র্যাব-১৫’র কমন্ডার ও সহকারী পুুলিশ সুপার মো: জামিলুল হক অভিযানের পর স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, চকরিয়া উপজেলার সরকারী হাসপাতালের আশপাশে গড়ে উঠা বেশীর ভাগ ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোর সেবা খুব নিন্ম মানের। অপরিস্কার পরিবেশ, ল্যাবে যথাযথ মেডিসিন নেই, নিন্মমানের মেডিসিন দিয়ে রোগিদের সেবার নামে প্রতারণা করে আসছে। গতকাল অভিযানে ৪টি ডায়গনষ্টিক সেন্টার থেকে আড়াই লাখ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া সবাইকে দ্রুত সেবা প্রতিষ্টানের অনুমোদন, উন্নত মেডিসিন সরবরাহ, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং রোগিদের ভাল মানের সেবা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আরো জানান, পুনরায় অনুমোদন ও নিন্মমানের সেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। উল্লেখ্য কোন কোন ডায়গনষ্টিক সেন্টার থেকে আড়াইলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তা তিনি সঙ্ঘাত কারণে নাম উল্লেখ করেননি। এসময় চকরিয়া থানা পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এ অভিযানের সাথে ছিলেন।
স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করেন, চকরিয়া উপজেলার সরকারী হাসপাতালকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে কিছু ডায়গনষ্টিক সেন্টার রোগিদের সেবা নামে প্রতারণা করে আসছে। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন। গতকাল র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশীর ভাগ প্রতিষ্টান বন্ধ করে গা ডাকা দেয়া। তারা পুনরায় অভিযান পরিচালনার দাবী করছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে।
পাঠকের মতামত: